আপনাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন, যারা নিজের একটি ব্যবসা শুরু করতে চান। কিন্তু, টাকার অভাবে হয়তো অনেকেই শুরু করতে পারছেননা। তবে মনে রাখবেন, আপনারা চাইলে খুব সহজেই অনেক কম টাকায় ব্যবসা আরম্ভ করতে পারবেন।
তবে মনে রাখবেন ব্যাবসা করতে গেলে সেখানে আপনার টাকার ইনভেস্টমেন্ট যতোই কম থাকুন একটা জিনিস সব সময় বেশি থাকতে হবে,সেটি হলো আপনার ইচ্ছে।
ইচ্ছে থাকলে আপনি ১০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করা ব্যাবসা ভবিষ্যতে অনেক বড়ো জায়গায় নিয়ে যেতে পারবেন।
নিচে বলা ব্যবসা গুলির মধ্যে, আপনার যেটা করতে সুবিধে এবং ভালো লাগে আপনি সেটা করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, একটি ব্যবসা শুরু করার আগেই, সেই বিষয়ে পুরো প্লানিং এবং কিভাবে কি করবেন, সবটাই ভেবে রাখতে হবে।
Contents
- 1 ১০ হাজার টাকায় শুরু করা যাবে এমন ১০ টি ব্যবসার আইডিয়া
- 2 ১- *Mobile & laptop repairing shop*
- 3 ২- Mobile recharge shop
- 4 ৩- Gota masala supply business
- 5 ৪- *Food & juice stall business*
- 6 ৫- Tuition center & class
- 7 ৬- ঘরে বসে কাপড়ের ব্যবসা
- 8 ৭- YouTube channel business
- 9 ৮- Digital marketing agency
- 10 ৯- Reselling Business
- 11 ১০- Photography Business
১০ হাজার টাকায় শুরু করা যাবে এমন ১০ টি ব্যবসার আইডিয়া
- Mobile & laptop repairing shop
- Mobile recharge shop
- Gota masala supply business
- Food & juice stall business
- Tuition center & class
- ঘরে বসে কাপড়ের ব্যবসা
- YouTube channel business
- Digital marketing agency
- Reselling Business
- Photography Business
১- *Mobile & laptop repairing shop*
আজ, প্রত্যেকের ঘরে একটি smartphone, computer বা laptop রয়েছে।
এবং এই ধরণের electronics অনেক সহজেই নষ্ট হয়ে যাওয়ার সুযোগ অনেক বেশি। তাই, একটি ছোট দোকান নিয়ে এবং কিছু জরুরি tools বা equipment কিনে নিজের একটি mobile বা computer repairing business অবশই চালু করতে পারবেন। এই ব্যবসায় অনেক কম পুঁজি বিনিয়োগ করলেই হবে।
কেবল, একটি ছোট দোকান নিতে হবে যেটা আপনারা যেকোনো জায়গায় নিতে পারবেন।
তারপর, বাকি সবটাই আপনার নিজের ওপরে। আপনি, কিভাবে এবং কি কি electronics কত বেশি পরিমানে ভালো করতে পারবেন তার ওপরেই নির্ভর করবে আপনার ইনকাম। তবে, যদি আপনি কম্পিউটার বা মোবাইল রিপেয়ারিং এর কাজ জানেননা, তাহলে খুব সহজে আপনার আসে পাশে থাকা যেকোনো institute থেকে শিখে নিতে পারবেন।
নতুন করে কাজ শিক্ষার জন্য ২ থেকে ৩ মাসের সময় আপনার দিতে হবে।
২- Mobile recharge shop
আজকাল একটি মোবাইল ফোন সবাইর কাছেই রয়েছে। এবং, মোবাইল রিচার্জ (mobile recharge) করার প্রয়োজনীয়তা ও মোবাইল ব্যবহার কারীদের রয়েছে।
তাই, একটি ভিড় ভার থাকা জায়গায় ছোট দোকান নিয়ে, কিছু জনপ্রিয় কোম্পানির মোবাইল রিচার্জ কার্ড বিক্রি করলেও ভালো পরিমানে কমিশন (commission) আয় করতে পারবেন। মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা এমনিতে অনেক কম টাকায় শুরু করতে পারবেন।
ভালো করে প্ল্যানিং করলে ১০ হাজার টাকার মধ্যে এই ব্যবসা শুরু করা যাবে। এবং, অধিক পরিমানে রিচার্জ ও সিম কার্ড বিক্রি করতে পারলে, ইনকামের পরিমান অনেক ভালো।
৩- Gota masala supply business
আজকাল প্রত্যেক দোকানেই গোটা মশলা রাখে। এবং, প্রত্যেক দিন আমাদের ঘরে খাবার বানানোর সময় গোটা মশলার প্রয়োজন অবশই হয়। তাই, আপনি যদি কম টাকায় নিজের প্রডাক্ট নিয়ে বিসনেস করতে চাচ্ছেন, তাহলে গোটা মশলার ব্যবসা অনেক লাভজনক হতে পারে।
আপনি বিভিন্ন গোটা মশলা যেমন, ৫ ফোড়ন, এলাচ, তেজপাতা, লং, সোর্স এবং আরো অনেক ধরণের মশলার ১০০ গ্রাম, ২০০ গ্রাম এবং ৫০ গ্রাম প্যাকেট বানিয়ে দোকানে দোকানে সাপ্লাই (supply) করতে পারবেন।
জানি, শুনতে অল্প আলাদা আলাদা লাগছে। তবে, অধিক পরিমানে এই মশলার প্যাকেট দোকানে দোকানে বিক্রি করতে পারলে, লাভের সুযোগ অনেক। গোটা মশলার ব্যবসাতে টাকা কম লাগলেও, এই বিসনেসে লাভ অনেক বেশি।
৪- *Food & juice stall business*
আজকাল রাস্তাঘাটে আপনারা অনেক ধরণের food & juice stall অবশই দেখেছেন। মানে, footpath এর সামনে ছোট একটি দোকান যেখানে বিভিন্ন রকমের খাবার পাওয়া যাচ্ছে। যেমন, চপ, সিঙ্গারা, রোল, মোমো, নুডলস এবং আরো অনেক ধরণের খাবার।
এই ধরণের একটি খাবার দোকান বা ফুড ষ্টল দেয়ার জন্য আপনার অনেক কম টাকার প্রয়োজন। তবে, ছোট ছোট খাবার দোকান গুলিতে কিন্তু লোকেদের ভিড় অনেক বেশি পরিমানে থাকে। কারণ, সবাই কম দামে ভালো খাবার খেতে ভালো পান।
তাই, ভালো কোয়ালিটির খাবার কম দামে দিতে পারলে, কেবল কিছু দিনের মধ্যেই আপনার food & juice stall এর ভালো নাম হয়ে যাবে।
৫- Tuition center & class
বলতে খারাপ লাগছে যদিও, আজ টিউশন পোড়ানোটাও কিন্তু এক ধরণের সাংঘাতিক লাভজনক ব্যবসা। আপনি যেকোনো বিষয়ে বাচ্ছাদের পড়াতে পারবেন এবং তার বদলে ফিস (fees) নিতে পারবেন।
ঘরে tuition class করানোটা সম্ভব যদিও, একটি আলাদা জায়গায় রুম (room) নিয়ে প্রফেশনালি (professionally) ব্যাচ হিসেবে টিউশন করলে আপনার অনেক ভালো পরিমানে আয় হবে। তাই, আপনি যেকোনো একটি বা দুটি বিষয় নিয়ে tuition class বা tuition center শুরু করতে পারেন।
আমার এক বন্ধু বিকেল ৫ থেকে রাত ৯.৩০ পর্যন্ত টিউশন করিয়ে ভালো পরিমানে আয় করছে। তাছাড়া, আপনাদের যদি কোনো বিশেষ প্রতিভা রয়েছে যেমন, drawing, music, Yoga & fitness, craft তাহলে এই বিষয় গুলি নিয়েও training ও tuition class দিতে পারবেন।
৬- ঘরে বসে কাপড়ের ব্যবসা
আমি অনেক মহিলাদের দেখেছি যারা বাড়িতে বসে কাপড়ের ব্যবসা করছেন। মানে, নিজের ঘরে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার ভেতরে অনেক কম দামে শাড়ি কিনে এনে তারপর সেগুলি আবার চীন পরিচিত লোকেদের বিক্রি করছেন।
হে, আপনি যদি একজন মহিলা এবং বাড়িতে বসেই ঘরোয়া ব্যবসা করতে চাচ্ছেন, তাহলে এই শাড়ির ব্যবসা আপনার জন্য সেরা। আপনি বিভিন্ন wholesaler বা manufacturer দেড় কাছ থেকে অনেক কম দামে সুন্দর সুন্দর শাড়ি কিনে আনুন এবং সেগুলি লাভ রেখে বিক্রি করুন।
শাড়ির কোয়ালিটি ভালো হলে এবং দেখতে সুন্দর হলে, আপনার এই ঘরোয়া ব্যবসা কখন লোকেদের মাঝে ছড়িয়ে যাবে, আপনি বুঝতেই পারবেননা। মনে রাখবেন, কাপড়ের ব্যবসা কিন্তু অনেক লাভজনক।
৭- YouTube channel business
ব্লগিং এর পর, ঘরে বসে অনলাইন টাকা আয় করার সবথেকে ভালো উপায় হলো YouTube.
ইউটিউবের চ্যানেল তৈরি করাটা একেবারে সহজ এবং ফ্রি।
একটি ইউটিউবের চ্যানেল তৈরি করার পর, কেবল নিজের চ্যানেলে ভালো ভালো ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতে হবে। একবার ইউটিউবের monetization চালু হয়ে গেলে, নিজের ভিডিও গুলিতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে মাসে মাসে ভালো পরিমানে টাকা আয় করতে পারবেন।
আজকের দিনে এই ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করে অনেক বড় বড় ইউটিউবার অনেক টাকা ইনকাম করছে। আপনি চাইলে কিন্তু আপনিও এই কাজটি করতে পারেন তার জন্য আপনাকে কিন্তু কিছুই করতে হবে না খালি আপনার কনটেন্ট ভালো হওয়া দরকার।
৮- Digital marketing agency
আজকাল যেকোনো কোম্পানি তাদের পণ্য বা প্রডাক্ট ইন্টারনেটে অনলাইন মার্কেটিং করেন এতে, তাদের পণ্য অনেক সহজে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অধিক লোকেদের কাছে প্রচার হয়ে যায়।
ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে করে এই ব্যাপারে কেবল ৩ মাসের কোর্স করেই শিখে নিতে পারবেন। তাছাড়া, ইউটিউবে ভিডিও দেখে বা ব্লগের আর্টিকেল পোড়ে আপনারা ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিষয়ে সবটাই শিখে নিতে পারবেন।
তারপর, নিজের একটি digital marketing agency খুলে, নিজের ঘর থেকে বা যেকোনো অন্য জায়গার থেকে বিভিন্ন লোকাল কোম্পানি বা ওয়েবসাইটের জন্য internet marketing করতে পারবেন।
আজ, ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা প্রচুর এবং প্রত্যেকেই নিজের নিজের পণ্য, সার্ভিস বা ওয়েবসাইটের প্রচার অনলাইন ইন্টারনেটে করতে চান। তাই, এই ধরণের professional business আপনার জন্য অনেক লাভজনক বলে প্রমাণিত হতে পারে।
৯- Reselling Business
বর্তমান সময়ে আপনি প্রায় ১০ হাজার টাকা বিয়োগ করে একটি পুনঃবিক্রয় ব্যবসা বা রিসেলিং ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এই ধরণের ব্যবসাতে আপনাকে পণ্য গুলোকে পাইকারি বাজার থেকে কিনে নিতে হয় এবং কিছুটা লাভের মার্জিন রেখে সেগুলোকে আবার রিটেল বাজারে বিক্রি করতে হয়। পণ্য গুলোকে তাড়াতাড়ি বিক্রি করার জন্য আপনি Amazon, Flipkart, eBay ইত্যাদির মতো ই-কমার্স প্লাটফর্ম গুলো ব্যবহার করতে পারবে।
এছাড়া অনেক ধরনের এরকম অ্যাপস পাওয়া যায় যেখানে আপনি কোন পণ্য রিসেলিং করে সেটি বিক্রি করতে পারেন।
আপনার কাজ হবে শুধুমাত্র কাস্টমার খোঁজা, প্রোডাক্টটির যা দাম সেটিও আপনাকে দিতে হবে না এবং প্রোডাক্টটি যদি রিফান্ড বা কিছু হয় সেটিও আপনাকে দিতে হবে না আপনার শুধুমাত্র কাজ হচ্ছে কাস্টমার খুঁজে দেওয়া কাস্টমার খুঁজে দিয়ে আপনি আপনার কমিশন পেয়ে যাবেন এইভাবে আপনি খুব অল্প খরচে বলতে গেলে বিনা খরচে রিসেলিং বিজনেস শুরু করতে পারেন।
এর জন্য আপনাকে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ বানাতে হবে আপনার ফ্রেন্ডদের মধ্যে এবং সেইখানে আপনি যেসব প্রোডাক্ট গুলো রিসেলিং করতে চান সেগুলো রেগুলার আপডেট দিতে থাকবেন এ থেকে কিন্তু আপনি ভাল প্রফিট ইনকাম করতে পারবেন।
১০- Photography Business
বর্তমান সময়ে যেকোনো ছোট বড় ইভেন্ট, পার্টি, বিয়ে ইত্যাদিতে একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার না থাকলে কাজ চলেনা।
প্রত্যেকেই তাদের প্রিয় উপলক্ষ্যে ডিজিটাল ছবি তোলার মাধ্যমে সেগুলোকে চিরকাল মনে রাখতে চান। এক্ষেত্রে, যদি আপনার মধ্যে ফোটোগ্রাফির স্কিল থাকে তাহলে কিছু দিন একটি ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে প্রাকটিস করার পর এই কাজ শুরু করতে পারবেন।
একটি প্রফেশনাল ডিজিটাল ক্যামেরা কিনতে গেলে অনেক টাকা লাগবে যদিও আপনি EMI-এর মাধ্যমে ক্যামেরা কিনে বা ভাড়াটে পাওয়া ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে নিজের কাজ চালিয়ে নিতে পারবেন। এছাড়া, অনলাইনে এরকম প্রচুর ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে নিজের তুলা ছবি গুলোকে বিক্রি করা যাবে।
এছাড়াও বর্তমান দিনে আপনি এমন অনেক ছেলে-মেয়ে পেয়ে যাবেন যারা মডেলিং করার জন্য ফটোগ্রাফার হায়ার করে থাকে, সেখান থেকেও কিন্তু আপনি ভাল টাকা ইনকাম করতে পারবেন তাছাড়া কোন জন্মদিনের অনুষ্ঠান কিংবা বিয়েতেও আপনি কিন্তু ফটোগ্রাফি করার জন্য ডাক পেয়ে যাবেন।
উপসংহার
এই প্রবন্ধটি খুবই অভিজ্ঞ ব্যক্তির দ্বারা লেখা হয়েছে, আশা করি প্রবন্ধটি আপনাকে অনেক ভালো লেগেছে।আমরা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রবন্ধগুলো আপনাদেরকে জ্ঞানবান তৈরি করার জন্য লিখে থাকি।
তাই আপনারও এই আর্টিকেলটি সব বন্ধুদের শেয়ার করে আমাদের পাশে দাঁড়াবেন।❤😊