২০০৫ সালে চালু হয়েছিল গুগল ম্যাপস। ইউজাররা রিয়েল টাইম ট্রাফিক পরিস্থিতি, স্যাটেলাইট ছবি, রাস্তার ম্যাপ, রাস্তার ৩৬০ ডিগ্রি ইন্টারেক্টিভ প্যানোরামিক ভিউ এবং বিভিন্ন মোডের মাধ্যমে গন্তব্যে পৌঁছনোর পথ দেখতে পান। গুগল প্লে স্টোর থেকে বিশ্ব জুড়ে ১০ বিনিয়নের বেশি গ্রাহক এই অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন। বেশিরভাগ দেশেই গুগল ম্যাপস অ্যাপ ব্যাপক জনপ্রিয়।
কাজের সূত্রে যাদের প্রতিদিন ঘুরতে হয়, তাঁদের তো বটেই, সাধারণ ইউজারদের কাছেও গুগল ম্যাপস অ্যাপের অবিশ্বাস্য গ্রহণযোগ্যতা। তবে একটা কাঁটাও রয়েছে। সেটা হল ম্যাপ মারফত সংবেদনশীল তথ্য এবং গোপন বৈশিষ্ট্য প্রকাশ হয়ে যাওয়ার উদ্বেগ। কোনও ব্যক্তি কোন রাস্তা দিয়ে যায়, কোথায় কতক্ষণ দাঁড়ায়, যাতায়াত করতে কতক্ষণ লাগে, সবকিছুই অ্যাপ থেকে জানা যায়।
ফলে গোপনীয়তা নিয়ে একটা উদ্বেগ তো থাকেই। অনেকেই এই কারণে গুগল ম্যাপসের ইনকগনিটো বা ছদ্মবেশী মোড ব্যবহার করেন। এই মোডে ইউজারের গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়। গুগল ম্যাপসের ইনকগনিটো মোডে ইউজারের কার্যকলাপ যেখানে সার্চ করা হয় বা নেভিগেট করা হয়, সেখানে অর্থাৎ গুগল অ্যাকাউন্টে সংরক্ষণ করা হয় না। সোজা কথায়, ব্রাউজিং বা সার্চ হিস্ট্রি রাখা হয় না।
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ইনকগনিটো মোড চালু করার পদ্ধতি: প্রথমে স্মার্টফোন বা ট্যাবে গুগল ম্যাপস অ্যাপ খুলতে হবে। এবার গুগল অ্যাকাউন্টো ঢোকার জন্য স্ক্রিনের ডানদিকের উপরে প্রোফাইল আইকনে প্রেস করতে হবে। সেখানেই ইনকগনিটো মোড চালু করার অপশন রয়েছে।
তবে ইনকগনিটো মোডে গুগল ম্যাপসের বেশ কিছু ফিচার ব্যবহার করা যায় না। এর মধ্যে রয়েছে যাতায়াত, লোকেশন হিস্ট্রি, লোকেশন শেয়ারিং, সার্চ হিস্টরি, নোটিফিকেশন এবং মেসেজ, নেভিগেশনে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট মাইক্রোফোন, অফলাইন ম্যাপ এবং মিডিয়া ইন্টিগ্রেশন।