বড়দিন ও বর্ষবরণের আগে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করেছে করোনা। সংক্রমণের পিছনে সাব-ভ্যারিয়েন্ট JN1-কে করা হয়েছে দায়ি। নতুন এই স্ট্রেনের নামাকরণ করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু। নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভ্যারিয়েন্ট অফ ইন্টারেস্ট’। সেই সঙ্গে দেওয়া হয়েছে আশার আলোও। মানব শরীরে JN1-এর প্রভাব ভয়ঙ্কর নয় বলে করা হয়েছে আশ্বস্ত।
Contents
কী দাবি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা?
নতুন স্ট্রেন JN1-কে ‘ভ্যারিয়েন্ট অফ ইন্টারেস্ট’ নাম দেওয়ার পাশাপাশি হু-র দাবি, এর প্রভাবে মৃত্যুর আশঙ্কা খুব একটা নেই। সংস্থার মতে, এর আগে যে সমস্ত সাব-ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছিল, তাদের মতো ক্ষতিকারক নয় JN1। তবে, করোনা বিধি মেনে চলার পরামর্শের পাশাপাশি কোভিড টিকা গ্রহণের উপর জোর দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা।
তাঁদের মতে, বর্তমানে করোনার যে সমস্ত প্রতিষেধক আছে, তা নিলে এর সংক্রমণের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করা যাবে।
কী বলেছে মার্কিন রোগ প্রতিরোধ সংস্থা?
করোনার নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট JN1 নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন। সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মার্কিন মুলুকে বেড়েছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ। আর ১৯ থেকে ২৯ শতাংশ সংক্রমণের পিছনে নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট দায়ি বলে জানিয়েছে তারা। আমেরিকায় প্রথম JN1 জীবাণু সনাক্ত করা হয়েছিল বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
করোনার সাব-ভ্যারিয়েন্ট JN1
শুধু আমেরিকা নয়, কোভিডের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে চিনেও। সাতজনের শরীরে JN1 সনাক্ত করা গেছে বলে খবর।
প্রসঙ্গত, এর আগে করোনার আরও একটি সাব-ভ্যারিয়েন্টের মিলেছিল হদিশ। বিএ.২.৮৬ নামে সাব-ভ্যারিয়েন্টের দাপটে বহু মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সক্রিয়তায় বিএ.২.৮৬ এবং JN1-এর মধ্যে ফারাক খুব কম বলে মনে করছেন ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা।
ভারতে JN1-এর সন্ধান
এদিকে, ভারতেও মিলেছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট JN1-এর সন্ধান। এর পরেই নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। দেশের প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে পাঠানোর হয়েছে সতর্কবার্তা। সেই সঙ্গে জোর দেওয়া হয়েছে কোভিড পরীক্ষার উপর। এরই পাশাপাশি মানুষের কাছে আবেদন করা হয়েছে কোভিড বিধি মেনে চলার জন্য। ভীড় স্থান এড়িয়ে চলার জন্য দেওয়া হয়েছে পরামর্শও।
JN1-এর উপসর্গ
এদিকে, ভাইরাস বিশেজ্ঞরা জানিয়েছেন নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট JN1 কতটা শক্তিশালী, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সাধারণ সর্দি-কাশির সঙ্গে থাকবে ক্লান্তি এবং সারা শরীর ও গলা ব্যথার মতো উপসর্গগুলি। নতুন এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট অল্প বয়সীদের থেকে বয়স্কদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি বলে জানিয়েছেন তাঁরা।