অনলাইন লেনদেনের সময় প্রথমেই একটা ওটিপি আসে। এ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে পেমেন্টে কোনও ঝামেলা বা জালিয়াতির ব্যাপার নেই। কিন্তু বর্তমানে ওটিপি নিয়েও জালিয়াতি শুরু হয়েছে সেটি রুখতেই এক নতুন পদ্ধতি নিয়ে আসতে চলেছে রিজার্ভ ব্যাংক ।
ইতিমধ্যেই ‘অথেন্টিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক’-এর উপর কাজ শুরু করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। গ্রাহকের অনলাইন লেনদেন আরও নিরাপদ করাই এর লক্ষ্য।
আরবিআই ব্যাঙ্কগুলিকে এসএমএস ভিত্তিক ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ওটিপি-র বিকল্প নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে বলেছে। আসলে ইদানীং ওটিপি হাতিয়ে নিয়েও প্রতারণা চলছে। তাই বিকল্প ব্যবস্থার খোঁজ। তবে বিকল্প ব্যবস্থা চালু হলেও স্মার্টফোনের প্রয়োজন ফুরবে না। কারণ প্রমাণীকরণের নতুন পদ্ধতিগুলিও কোনও না কোনওভাবে ইউজারের মোবাইল ফোনের সঙ্গে যুক্ত থাকবে।
অথেন্টিকেশন অ্যাপ কি
এর জন্য ইউজারকে তাঁদের মোবাইল ফোনের অন্য অ্যাপ থেকে পাসওয়ার্ড বের করতে হবে। সার্ভিস প্রোভাইডাররা মোবাইল অ্যাপে টোকেনের মতো অন্যান্য বিকল্পও তৈরি করেছে।
অথেন্টিকেশন অ্যাপ কতটা সুরক্ষিত?
এখন প্রশ্ন হল অথেন্টিকেটর অ্যাপ কি জালিয়াতি ঠেকাতে পারবে? রুট মোবাইলের এমডি এবং সিইও রাজদীপ কুমার গুপ্তা বলছেন, তাঁর কোম্পানি বিভিন্ন সার্ভিস প্রোভাইডারের হয়ে প্রতি মাসে প্রায় ৪০০ কোটি ওটিপি পাঠায়। কিন্তু ডিজিটাল সিস্টেমের বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জালিয়াতিও বাড়ছে। তাই জালিয়াতি ঠেকাতে তাঁরা ‘ট্রুসেন্স’ চালু করেছেন।
ট্রুসেন্স হল ওটিপিবিহীন অথেন্টিকেশন। এর মাধ্যমে সরাসরি ইউজারের ডিভাইসের সঙ্গে সার্ভিস প্রোভাইডারের ডেটা সংযোগ থাকবে। ট্রুসেন্সে মোবাইল নম্বর বাছাই করে ওটিপি ছাড়াই টোকেন বিনিময় করা যায়।
ডিপফেকের ঝুঁকি থাকছেই
ডিজিটাল আইডেন্টিটির এক্সিকিউটিভ ভিপি ডেভিড উইগার বলছেন, বায়োমেট্রিক্স একমাত্র সমাধান নয়। কারণ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সাহায্যে নিমেষে ডিপফেক তৈরি করে নেওয়া যায়। ই-মেলের মাধ্যমেও কাজ হবে না।
ডিজিটাল যুগে ভুয়ো ই-মেল সহজেই তৈরি করা যায়। তাছাড়া মেল আইডি খুলতে কেওয়াইসি লাগে না। তাই ভিগারের মতে, মোবাইল ফোনকে কাজে লাগাতে হবে। কারণ ভারতীয় বাজারে একজন গ্রাহকের মোবাইল ফোনই তাঁর পরিচয় যাচাই করার সর্বোত্তম মাধ্যম। সংযোগ নেওয়ার আগে পরিচয়পত্র দিতে হয়।