এই মরশুমে ব্যাগ গুছিয়ে সবাই বেরিয়ে পড়ছেন নানান সব পর্যটন স্থলে। কিন্তু ঘুরতে গিয়ে সবার প্রথমেই দরকার হয় একটি হোটেলের। সেখানে সবাই নিজেদের পছন্দ মত হোটেল রুম (Hotel Room) বুক করে থাকেন। কিন্তু ভুললে চলবে না নিরাপত্তা (Security) সবার আগে। তাই যখনই কোন হোটেল রুম বুক করা হবে তখনই বেশ কিছু জিনিস যাচাই (Check) করে নেওয়া জরুরি।
যা সকলের প্রাইভেসির জন্য অত্যন্ত জরুরী। অনেক সময় এই ধরনের হোটেল গুলিতে বিভিন্ন গোপন ক্যামেরায় লাগিয়ে অনেকের ব্যক্তিগত মুহূর্ত রেকর্ড করে রাখা হয়। তাই শুধু OYO হোটেলই (OYO Hotel) নয় যে কোন হোটেলেই যখনই কেউ যাবেন তখনই আগে থেকে বেশ কিছু জিনিস যাচাই করে নেওয়া জরুরী। হোটেলে কোথাও গোপন ক্যামেরায় লাগানো আছে কিনা তা জানার বেশ কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করা জরুরি।
কোন কোন জিনিসের উপরে নজর রাখতে হবে।
হোটেল রুমে ঢোকার পর সেই রুম নিরাপদ কি না তা জানার জন্য প্রথমেই লাইট অফ করে পুরো ঘর অন্ধকার করে ফেলতে হবে। এরপর বেশ কিছু সন্দেহজনক জায়গায় গিয়ে নিজের ফোনের ক্যামেরা অন করে নিতে হবে। যেমন বিছানা, আয়না, পাখা টিভি লাইট কিংবা ফুলদানি। অন্ধকার ঘরে এই সমস্ত জায়গায় মোবাইল ক্যামেরা অন করার পর ডিসপ্লের দিকে নজর দিতে হবে।
যদি ডিসপ্লের ওপরে সামান্য কোন আলো দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে ওই জায়গায় অবশ্যই এটি ক্যামেরা রয়েছে। একইভাবে হোটেলের ওয়াশরুমে গিয়েও লাইট অফ করে একটি টর্চ জ্বালিয়ে পরীক্ষা করা যেতে পারে। আলোতে কোনো রকম প্রতিফলন দেখা গেলে বুঝতে হবে আশেপাশে কোথাও ক্যামেরা লাগানো আছে। স্পাই ক্যামেরা সনাক্ত করার জন্য সঙ্গে একটি ডিটেক্টর রাখা যেতে পারে।
বাজারেও এখন এই সনাক্তকারী ডিরেক্টর কিনতে পাওয়া যায়। এছাড়াও কেউ চাইলে নিজের মোবাইলে ডিটেক্টর ডাউনলোড করে নিতে পারেন। প্রত্যেক হোটেল রুমেরই একটি চাবি ছাড়াও থাকে আরও একটি কমন চাবি থাকে। তাই রাতে ঘুমানোর সময় হোটেল রুমের দরজায় একটা কাপ ঝুলিয়ে রাখা যেতে পারে।
এরফলে কেউ যদি বাইরে থেকে দরজা খুলে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন তাহলে সেই কাপ পড়ে গিয়ে আপনার ঘুম ভাঙিয়ে দেবে। অনেকেই রয়েছেন যারা রুমে ঢুকেই টিভির রিমোট কিংবা লাইটের সুইচে হাত দিতে শুরু করেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে হোটেল রুমে ঢুকে কোন জিনিসে হাত দেওয়া চলবে না। প্রথমে ঘরে ঢুকেই জীবাণুমুক্ত না করে কোন কিছু স্পর্শ করা উচিত নয়।