আপনি কি পার্টটাইম ব্যবসা করে মাসের শেষে মোটা টাকা ইনকাম করতে চান? তাহলে এই লিখাটি অবশ্যই পড়ুন

আপনারা কি জানেন পার্ট টাইম ব্যবসা কি? কিভাবে করতে হয়? পার্ট টাইম ব্যবসা করতে কি কি লাগে? ছাত্র অবস্থায় কিংবা চাকরির পাশাপাশি অনেকেই পার্ট টাইম ব্যবসা করতে চায়। আজকের লেখাতে ১৫টি পার্ট টাইম ব্যবসা আইডিয়া নিয়ে কথা বলবো।

পড়ালেখা বা অফিস- চাকুরি করার পাশাপাশি আরো একটি ব্যবসা করাকেই মূলত পার্ট টাইম ব্যবসা বলে। পার্ট টাইম ব্যবসা অধিক লাভজনক। আজকে আমরা এমন ১০ টি পার্ট টাইম ব্যবসা নিয়ে কথা বলবো যা আপনারা অবসর সময়ে করে লাভবান হতে পারবেন।

1- রি সেলিং বিজনেস

ফেইসবুকে অথবা ইন্সটাগ্রামে একটি অনলাইন পেইজ তৈরি করে খুব সহজে অনলাইন ব্যবসা শুরু করা যায়। আপনি যেই প্রোডাক্ট নিয়ে ব্যবসা করতে চান তার সুন্দর সুন্দর ছবি তুলে পেইজে আপলোড করে আপনি আপনার অনলাইন দোকানটি সাজাতে পারেন।

বেশি বেশি পোস্ট শেয়ার করে আপনি আপনার অনলাইন পেইজের প্রোডাক্টগুলো হাজার হাজার মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারবেন। এছাড়া আপনি একটি whatsapp এর গ্রুপ বানিয়ে আপনার চেনাশোনা মানুষদের মধ্যেও এসব প্রোডাক্টগুলোকে বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারবেন। এভাবে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট রি সেলিং করে মাসে মত টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

2. অনলাইনে মগ প্রিন্ট এর ব্যবসা

এর জন্য একটি নির্দিষ্ট মেশিনের দরকার পড়ে। সেই মেশিনের মাধ্যমে মগে বিভিন্ন ডিজাইন বা প্রিয় মানুষের ছবি দিয়ে প্রিন্ট করা হয়। তবে, এর জন্য আপনাকে মেশিন কিনতে হবে না। আপনি যাস্ট অনলাইন থেকে অর্ডার সংগ্রহ করবেন তারপর, যারা মগে প্রিন্ট করে তাদের দিয়ে কাজ করি নিবেন।

বিভিন্ন দিবসে ও প্রোগ্রামে বিভিন্ন কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর মগ প্রিন্টের প্রয়োজন হয়। আপনি তাদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করে অর্ডার সংগ্রহ করতে পারেন।

3. মৎস চাষ এর ব্যবসা

বিভিন্ন বিদেশি প্রজাতির মাছ চাষ করে তা বিক্রি করে অনেক লাভবান হওয়া সম্ভব। বিদেশি মাছ চাষের ব্যবসা কম সময়ে বহুগুন লাভজনক একটি ব্যবসা। ঘরে একুরিয়াম বা বড় মাটির ট্যাংক এর মধ্যেই এই মাছ চাষ করা যায়। নানা রঙের বিভিন্ন বিদেশি মাছ এর চাহিদা এখন অনেক।

কম সময় ব্যয় করে আপনি এই ব্যবসা করতে পারবেন। এই মাছের ছোট পোনা এনে তা পালনের মাধ্যমে এগুলোকে বড় করে বিক্রি করা যায়। ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতে প্রায় অনেকেই আজকাল এই একুরিয়ামের মাছ কিনে থাকে তাই এই ব্যবসায় লাভও অনেক। এই ব্যবসা আপনি ১০-২০ হাজার টাকা হলেই শুরু করতে পারবেন।

8. ফ্রিল্যান্সিং

ফ্রিল্যান্সিং হলো মুক্ত পেশা। পড়াশোনা বা চাকরির পাশাপাশি এই ব্যবসা করে অনেক বেশি আয় করা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে ভালো স্কিল না থাকলে সফলতা আশা করা যায় না।

5. কন্টেন্ট রাইটিং ও ব্লগিং

অভিজ্ঞতা এবং ভাল দক্ষতার মাধ্যমে করা যাবে এমন আরও একটি ব্যবসা হলো কন্টেন্ট রাইটিং বা ব্লগিং। নিজের লেখার দক্ষতার মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য আকর্ষণীয় ভাবে মানুষের সামনে তুলে ধরাই এর মূল কাজ।
এর জন্য প্রয়োজন শুধু স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ আর একটি ওয়েবসাইট যেখানে আপনি আপনার কনটেন্ট লিখে আপলোড করবেন।
আপনি নিজেই ঘরে বসে একটি ওয়েবসাইট খুলে আপনার আকর্ষণীয় লেখার মাধ্যমে ব্লগিং করে মাসে হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

6. টি-শার্ট বিজনেস

অনেকে টি-শার্ট কিনে তা ক্রেতার পছন্দসই কাস্টমাইজ করেও ভালো ইনকাম করছে। এক্ষেত্রে ২০-২৫ হাজার টাকায় খুব সহজেই এই ব্যবসা শুরু করা যায় এবং আয় করা যায়। টি শার্ট পাইকারি বাজার থেকে টি-শার্ট কিনে ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার প্রতিটি প্রয়োজন হবে সেটি হলো একটি টি-শার্ট প্রিন্টিং মেশিন।
এখান থেকে আপনি অনলাইনে এবং অফলাইনে টি-শার্ট বিক্রি করে মোটা টাকা আয় করতে পারবেন।

7. সেলাই বা টেইলারিং এর ব্যবসা

আপনি ৮-১০ হাজার টাকা খরচ করে সেলাই মেশিন এবং সেলাইয়ের যাবতীয় যন্ত্রপাতি কিনে শুরু করতে পারবেন। আপনার ঘরে সেলাই মেশিন রাখার জায়গা থাকলেই এই ব্যবসা আপনি শুরু করতে পারবেন। এছাড়াও, বিভিন্ন বড় বড় দিবসে বা ঈদ, পূজা এইসবের সময় আপনার বিক্রি আরও বহুগুন বাড়বে।

8. টিউশন বা কোচিং সেন্টারের ব্যবসা

আপনার বাড়িতে পর্যাপ্ত জায়গা থাকলে ১০-১২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে একটি ব্যাচ খুলে পড়াতে হবে। আবার অনেকে আলাদা জায়গা ভাড়া করেও কোচিং সেন্টার চালায়। ১২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যদি আপনি একটি ব্যাচ খুলেন এবং তারা প্রত্যেকে যদি ১০০০টাকা করেও দেয় তাহলে আপনাত ঘরে বসেই মাসে ১২০০০ টাকা আয় হবে।

9.ইভেন্ট প্লানার

ইভেন্ট প্ল্যানার এর কাজ হলো বিভিন্ন ধরনের ইভেন্ট যেমন – বিয়ে, জন্মদিন ইত্যাদির ডেকোরেশন প্ল্যান করা। ইভেন্ট প্ল্যানার হিসেবে পার্ট টাইম ব্যবসা করার ক্ষেত্রে সুন্দর করে ডেকোরেশন করার দক্ষতা খুবই প্রয়োজন।
৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মূল্যধন মোবাইল বা ল্যাপটপ আর ডেকোরেশন করার জিনিসপত্র নিয়ে আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
এসব থাকলেই আপনি ইভেন্ট প্ল্যানার হিসেবে পার্ট টাইম ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। অনলাইনের মাধ্যমে আপনি আপনার ডেকোরেশন এর দক্ষতা সবার সামনে তুলে ধরতে পারবেন এবং আপনার ব্যবসাও বড় হবে।