স্মার্টফোন আজ আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। আজ স্মার্টফোনগুলি শুধুমাত্র কল করার জন্য নয়, ফটো শেয়ার করা, খাবার অর্ডার করা এবং টিকিট বুক করার জন্যও ব্যবহৃত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে, স্মার্টফোনটি কত দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে এবং কখন এটির মেয়াদ শেষ হবে তা অবশ্যই জানতে হবে।
আপনার যে আর্টিকেলটি পড়া উচিত স্মার্ট ফোন কেনার আগে: লম্বা সময়ের জন্য ফোনের ব্যাটারি ভালো রাখার উপায়।
আপনার যে আর্টিকেলটি পড়া উচিত স্মার্ট ফোন কেনার আগে: তারা তারি ফোনের ব্যাটারি শেষ হয়ে যাচ্ছে? জেনে নিন ঠিক করার উপায়।
ঠিক কতদিন একটি স্মার্ট ফোন ব্যবহার করা যেতে পারে
স্মার্টফোন একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস, অন্য যে কোনও ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মতোই এর ব্যাটারিতে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় যা কিছু সময় পর শেষ হয়ে যায়। আজকাল স্মার্টফোনে ফিক্সড ব্যাটারি আসে, ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেলে তা রিপ্লেস করা যায় না। ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর মানুষ তাদের স্মার্টফোন ফেলে দেয়। তবে আপনি যদি আপনার স্মার্টফোনটিতে ব্যাটারি রিপ্লেস করে ব্যবহার করেন তাহলে কিন্তু সেটি আরো অনেক বছর ব্যবহার করা যেতে পারে।
একটি স্মার্টফোন যত বছরই ব্যবহার করুন না কেন, এর মেয়াদ শেষ হয় না। আসলে, স্মার্টফোনের কোনও নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ নেই। কিন্তু এমন কিছু কারণ রয়েছে যার কারণে একদিনের জন্যও সঠিকভাবে ব্যবহার না করলেও স্মার্টফোন নষ্ট হয়ে যায়। যতক্ষণ পর্যন্ত স্মার্টফোনের কোনও বড় ত্রুটি না থাকে, ততক্ষণ এটি কাজ করতে থাকে। এই সমস্যাটি ব্যাটারি, সার্কিট বোর্ড বা তারের সঙ্গে হতে পারে।
একটি স্মার্টফোনের জীবন মেয়াদ- বাজারে উপলব্ধ একটি ভাল ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন বছরের পর বছর কাজ করবে। স্মার্টফোনে এই ধরনের চিপ এবং যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয় যা দীর্ঘ সময় ধরে চলে, যদি কেউ ফোনটি যত্ন সহকারে ব্যবহার করেন। অনেক ফোন কোনও সমস্যা ছাড়াই ৮-১০ বছর ধরে চলে। হ্যাঁ, মাঝে মাঝে এর ব্যাটারি পরিবর্তন করতে হতে পারে।
স্মার্টফোন কোম্পানির কারসাজি
তবে আপনি আপনার স্মার্টফোনটি যত ভাবুন অনেক বেশি বছর ধরে ব্যবহার করবেন, স্মার্টফোন কোম্পানিগুলি কিন্তু আসলে সেটা চায় না । তারা চায় আপনি আপনার স্মার্টফোনটি খুব বেশি হলে ২ কিংবা তিন বছরের বেশি ব্যবহার না করেন। সেই জন্য দুই কিংবা তিন বছর পর আপনার স্মার্ট ফোনে সমস্ত রকম আপডেট আসা বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে আপনার স্মার্টফোনটি ব্যাকডেটেড হয়ে থাকে এবং আপনি বাধ্য হয়ে আপনার স্মার্টফোনটিকে পরিবর্তন করেন।
কোম্পানিগুলোও দুই-তিন বছর পর আনুষঙ্গিক পার্টস তৈরি বন্ধ করে দেয়। যার কারণে মেরামতের সময় যন্ত্রাংশ পাওয়া যায় না। কোম্পানিগুলি এমন করে, যাতে লোকেরা নতুন স্মার্টফোন কেনে এবং তাদের ব্যবসা চলতে থাকে।
তবে আপনি যদি আপনার স্মার্টফোন টিকে ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারেন, তবে আপনি যতদিন চাইবেন ততদিনই ব্যবহার করতে পারবেন যতদিন না সেটি সম্পূর্ণভাবে খারাপ হয়ে যাচ্ছে।