উরাওয়া রেড ডায়মন্ডসকে দাপটের সঙ্গে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। পঞ্চম শিরোপা জিততে আর এক ধাপ দূরে সিটি। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে কিং আব্দুল্লাহ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে সেমি-ফাইনালে ৩-০ গোলে জিতেছে ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা। যদিও চোটের কারণে এদিন মাঠে ছিলেন না সিটির গত মরশুমের সর্বোচ্চ গোলদাতা আর্লিং হলান্ড। তবে তাতে কোনও সমস্যা হয়নি ম্যাঞ্চেস্টার সিটির। প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর বাকি দু’টি গোল করেন মাতেও কোভাসিচ এবং বের্নার্দো সিলভা।
সোমবার প্রথম সেমিফাইনালে মিশরের ক্লাব আল আহলিকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে ব্রাজিলের দল ফ্লুমিনেন্সে। আগামী শুক্রবার ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটির বিপক্ষে শিরোপার লড়াইয়ে নামবে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি।
ম্যাচের পরিসংখ্যানের দিকে চোখ রাখলেই বোঝা যাবে, পুরো খেলায় সিটির আধিপত্য কেমন ছিল। পুরো ম্যাচে মাত্র দু’টি শট নিয়েছে উরাওয়া রেডস। তারা সিটির গোল মুখে একটিও শট রাখতে পারেনি! আক্রমণের ঝড় তোলা সিটি পুরো ম্যাচে শট নিয়েছে ২৫টি। তবে পুরো ম্যাচের রাশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখলেও, প্রথম গোলের দেখা পেতে প্রথমার্ধের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে সিটিকে।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। প্রতিপক্ষের জমাট রক্ষণে যদিও তাদের আক্রমণগুলো বারবার ভেস্তে যাচ্ছিল। ১৫ মিনিটের মাথায় বাঁ দিক থেকে জ্যাক গ্রিলিশের পাস ডি-বক্সের মুখে পেয়ে প্রথম টাচে জোরালো শট নেন বের্নার্দো সিলভা। কিন্তু ক্রসবারের উপর দিয়ে বের হয়ে যায় বল। এর চার মিনিট পর ফের গ্রিলিশ ক্রস বাড়ান সিলভাকে। খুঁজে এবার গোলরক্ষক বরাবর অবশ্য দুর্বল শট নেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার।
প্রথমার্ধের বেশিরভাগ সময়টাই রক্ষণ সামলাতেই কেটে গিয়েছে উরাওয়ার প্লেয়ারদের। বিরতির আগে গোলের উদ্দেশ্যে একটি শটও নিতে পারেনি তারা। তবে ম্যাঞ্চেস্টার সিটিকে তারা ঠিকঠাক ভাবেই আটকে রেখেছিল। কিন্তু প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে ডান দিক থেকে নুনেসের বাড়ানো বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে ঠেলে দেন ডিফেন্ডার মারিয়াস হেইব্রটেন। সেটা উরাওয়া রেডের কাছে বড় ধাক্কা ছিল।
বিরতির পরে আরও অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে সিটি। আক্রমণের ঝড় তোলে তারা এবং এর সুফলও পায়। ম্যাচের ৫২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কোভাসিচ। কাইল ওয়াকারের পাস ধরে গতিতে একজনকে পেছনে ফেলে বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। এর পর জোরাল শটে বল জালে জড়ান। তৃতীয় গোলের জন্য অবশ্য বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি সিটিকে। ৫৯তম মিনিটে নুনেসের জোরালো শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। ফিরতি বল পেয়ে শট নেন সিলভা, একজনের পায়ে লেগে পোস্ট ঘেঁষে বল জালে জড়ায়। শেষ দিকে কিছুটা আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করে উরাওয়া। যদিও সিটির গোলরক্ষক এদেরসনকে তেমন পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি তারা।