হালাল উপার্জন হলো- বৈধ ও ন্যায্য উপায়ে অর্থ আয় করা। বেঁচে থাকা এবং সুন্দরভাবে জীবন যাপনের জন্যে প্রত্যেক ব্যক্তিরই উপার্জন করতে হয়। তবে মুমিন-মুসলামানদেরকে অবশ্যই হালাল উপার্জন করতে হবে। একজন মুসলমানের জন্যে হালাল উপার্জন করা ফরজ।
হালাল উপার্জন কি ভাবে করা যায় সেটা জানার আগে জেনে নেওয়া উচিত হারাম উপার্জন কোনগুলো
১.মুসলমানের জন্যে সুদের উপার্জন ঘুষের উপার্জন হারাম।
২.চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ইত্যাদির মাধ্যমে উপার্জন করা হারাম।
৩.ঠকবাজি ও ধোকা প্রতারণার মাধ্যমে উপার্জন করা হারাম।
৪.জুয়া ও জালিয়াতির মাধ্যমে উপার্জন করা হারাম।
৫.পরের হক আত্মসাতের কামাই হারাম।
৬.এমনকি সক্ষম লোকের জন্য ভিক্ষাবৃত্তির উপার্জনও হারাম।
৭. কারোর উপরে অত্যাচার করে অবৈধ ও জুলুম করে তার থেকে উপার্জন হারাম।
হালাল উপার্জনের পথ
মুসলমানের জন্যে হালাল উপার্জনের পথ হলো-
১. বৈধ উপায়ে হালাল ব্যবসা করা।
২. শ্রমদানের মাধ্যমে উপার্জন করা।
৩. চাকুরি করার মাধ্যমে উপার্জন করা।
একটি কথা সবসময় মনে রাখতে হবে যে, হারাম উপার্জন করে আপনি এই দুনিয়াতে যতই বড় মানুষ হোন না কেন ।আখিরাতে কিন্তু আপনার সেই উপার্জন কোন কাজে লাগবে না।আর আপনি যদি হালাল পথে উপার্জন করেন আখেরাতে কিন্তু তার জন্য আপনি ভালো সওয়াব পাবেন।
হারাম পথে উপার্জন করা এবং হারাম পথে খরচ করা দু’টোই গোনাহের কাজ। এ প্রসঙ্গে হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘কিয়ামতের দিন পাঁচটি বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবার আগ পর্যন্ত মানব সন্তানের পা এক কদমও নড়বে না।
১. সে নিজের জীবন কোন্ পথে পরিচালিত করেছে?
২. যৌবনের শক্তি সামর্থ্য কী কাজে লাগিয়েছে?
৩. অর্থ-সম্পদ কোন্ পথে উপার্জন করেছে?
৪. অর্থ-সম্পদ কোন্ পথে খরচ করেছে?
৫. যতোটুকু জ্ঞান অর্জন করেছে সে অনুযায়ী কতোটুকু চলেছে? –