চন্দ্রযান ৩ এর সাফল্যের পর দেখে নিন ইসরোর পরবর্তী একগুচ্ছ পরিকল্পনা, তারমধ্যে অন্যতম মহাকাশে মানুষ পাঠালো?
একগুচ্ছ পরিকল্পনা রয়েছে ইসরোর। ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ডজনখানেক প্রকল্প তাদের হাতে রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম বৃহৎ প্রকল্পটির নাম গগনযান। যার মাধ্যমে মহাকাশে মানুষ পাঠানো হবে।
অগস্ট মাসে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। তাদের তৈরি ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদের মাটিতে পা রেখেছে। তার পর ল্যান্ডারের পেট থেকে বেরিয়েছে রোভার প্রজ্ঞান।
চন্দ্রযান-৩-এর রোভার চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটিতে প্রায় ১০ দিন ঘুরে বেরিয়েছে। নানা তথ্য সংগ্রহ করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে। তার পর চাঁদের মাটিতেই চিরঘুমে ডুবে গিয়েছে।
আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের পর চতুর্থ দেশ হিসাবে ভারত চাঁদে মহাকাশযান পাঠিয়েছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ইসরোই প্রথম। এই নজিরের পর আরও একগুচ্ছ প্রকল্প হাতে নিয়ে রেখেছে ইসরো।
নাসার সঙ্গে যৌথ ভাবে সিন্থেটিক অ্যাপারচার র্যাডার মিশনে কাজ করছে ইসরো। সংক্ষেপে এই মিশনের নাম নিসার (নাসা-ইসরো সিন্থেটিক অ্যাপারচার র্যাডার মিশন)। এটি প্রথম দ্বৈত-ব্যান্ড র্যাডার ইমেজিং স্যাটেলাইট।
পৃথিবীর বাইরে থেকে পৃথিবীকে পরিদর্শন করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠাবে এই কৃত্রিম উপগ্রহ। মহাকাশ গবেষণায় নাসা এবং ইসরোর এই যৌথ প্রচেষ্টার দিকে নজর থাকবে গোটা বিশ্বের।
ইসরোর তালিকায় আরও একটি কৃত্রিম উপগ্রহ রয়েছে। যা ২০২৪ সালে উৎক্ষেপণের কথা। সেই স্যাটেলাইটের নাম ইনস্যাট-থ্রিডিস্। এটি কথোপকথনের কাজে ব্যবহৃত হবে।
এই কৃত্রিম উপগ্রহটি ভারতীয় স্যাটেলাইট সিস্টেম সিরিজের অন্তর্গত। আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি এবং বিপর্যয় মোকাবিলার ক্ষেত্রে এটি কাজে লাগবে।
ইসরোর তালিকায় আরও দু’টি কৃত্রিম উপগ্রহ রয়েছে। সেগুলি নিয়ে কাজ চলছে। ২০২৪ সালে ইসরো উৎক্ষেপণ করতে পারে রিস্যাট-১বি এবং রিসোর্স্যাট-৩। দেশের রিমোট সেন্সিং সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কাজে লাগবে এগুলি।
টিডিএস০১ এবং স্পেডেক্স নামে দু’টি প্রকল্প ইসরোর হাতে আছে। চাঁদে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার গবেষণা এবং ভবিষ্যতের চন্দ্র অভিযানে সাহায্য করবে এই প্রকল্প।
ইসরোর আরও একটি আগামী প্রকল্পের নাম ওশানস্যাট-৩এ। সমুদ্র গবেষণা এবং পরিবেশ নিয়ে চর্চা করতে কাজে লাগবে এই প্রকল্প থেকে সংগৃহীত তথ্য।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা কাজ করছে জিস্যাট-২০ প্রকল্পেও। যা দেশের টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন জোয়ার আনতে পারে। ২০২৪ সালের মধ্যেই এই প্রকল্পকে দিশা দিতে চায় ইসরো।
ইসরোর আরও একটি প্রকল্পের নাম এনভিএস-০২। নেভিগেশন ব্যবস্থা উন্নত করার কাজে লাগবে এই স্যাটেলাইট। বিজ্ঞানীরা দিনরাত এর জন্য পরিশ্রম করছেন।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা আগামী বছরে রিইউজ়েবল লঞ্চ ভেহিক্ল (আরএলভি)-এর কাজ সম্পূর্ণ করতে চলেছে। মহাকাশ গবেষণা কী ভাবে কম খরচে করা যায়, তা নির্দিষ্ট করবে এই প্রকল্প।
২০২৪ সালে ইসরোর হাতে বড় প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম গগনযান। এর মাধ্যমে মহাকাশে মহাকাশচারী পাঠাতে চায় ইসরো। সেই অনুযায়ী মহাকাশযানটি প্রস্তুত করা হচ্ছে।